top of page
Writer's picturedbwebdesk

১৯ বছরের কড়া পরিশ্রমের পর চাষির ছেলে আজ IAS


তামিলনাড়ুর এলামবাহাভত সিভিল সার্ভিস আধিকারিক। চিত্র


ডনবেঙ্গল : তামিলনাড়ুর এলামবাহাভত এমন একজন সিভিল সার্ভিস আধিকারিক যিনি জীবনের বড় একটা সময় কাটিয়েছেন চূড়ান্ত দারিদ্র্যের মধ্যে। তবু তার অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে আজ একজন সিভিল সার্ভিস আধিকারিক।


তার বাবা ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন সামান্য আধিকারিক। মা কাজ করতেন কৃষিক্ষেত্রে। বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই মায়ের সঙ্গে জমিতে কাজ করা আর পড়াশোনা একসঙ্গে চালাতে হয়েছে এলামবাহাভতকে।


তবে হঠাৎ করেই বাবা মারা যাওয়ায় দ্বাদশ শ্রেণী পাস করার পর পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয় এলামবাহাভতকে। কিন্তু স্বপ্ন ছাড়েননি তিনি। তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলার এই যুবক ডিসটেন্সে মাদ্রাজ ইউনিভার্সিটি থেকে ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রী গ্রহণ করেন।


তখনও অবধি অবশ্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়ার কোন ইচ্ছেই ছিলো না তার। এলামবাহাভত নিজেই বলেন, আমার বন্ধুরা কেউ ডাক্তার কেউ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য পড়াশোনা করছিল এবং তৈরি হচ্ছিল। সে সময় আমার সিভিল সার্ভিসের কোনো স্বপ্ন ছিল না।


অনেকের মতে ভালো স্কুল, ভালো কোচিং না হলে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাস করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু তাদের জন্য এক বড় অনুপ্রেরণা তামিলনাড়ুর কে এলামবাহাভত।


তবে তার এই চলার পথে অনেক বাঁধা সম্মুখীন হন তিনি।এল ডি সি পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন তিনি। ইচ্ছে ছিল সরকারি চাকরি করে মা এবং বোনেদের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু চাকরি পেতে গেলে দরকার ছিল ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরের কাছে বেশ কিছু ডকুমেন্টস জমা দেওয়া। আর এখানেই বড় প্রতারণা করা হয় এলামবাহাভতের সঙ্গে। প্রায় সমস্ত ধরনের সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার পরেও তার চাকরি আটকে যায়।


ওয়েটিং লিস্ট থেকে অন্যদের চাকরিতে নেওয়া হচ্ছে। তবে তার পালা আসছে না কখনই। ৯ বছর ধরে লড়াই করার পরও এই চাকরি পাননি এলামবাহাভত। তারপর সিভিল সার্ভিস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন তিনি।


এলামবাহাভত বলেন, "লোকে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেয় অনুপ্রাণিত হয়ে। আমি দিয়েছি, ভারতীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থার উপর বিতৃষ্ণ হয়ে।” অবশেষে ২০১৫ সালে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ১১৭ র‍্যাঙ্ক করেন তিনি।

Comments


bottom of page