জুলাই মাসের শেষেই প্রকাশ পেতে চলেছে দ্বাদশ শ্রেণীর রেজাল্ট। সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা দিয়ে এমনই জানাল সিবিএসই। জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের যদি কোনও আপত্তি থাকে তবে তা মেটাতে একটি কমিটি গঠন করা হবে। প্রকাশিত ফলে কোনও পড়ুয়া সন্তুষ্ট না হলে লিখিত পরীক্ষা দেওয়া যাবে। তবে তারজন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১লা জুন করোনা আবহে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা করে সিবিএসই। তার আগেই বাতিল করা হয়েছিল দশম শ্রেণীর পরীক্ষাও। স্বাভাবিভাবেই পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় প্রশ্ন ওঠে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কীভাবে করা হবে ? মূল্যায়নের প্রক্রিয়া জানাতে সিবিএসইকে ২ সপ্তাহ সময় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই, পদ্ধতি ঠিক করতে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করে সিবিএসই। এদিন আদালতে সিবিএসই জানায় আগামী ৩১ জুলাই এর মধ্যে দ্বাদশ শ্রেণীর মূল্যায়ন প্রকাশিত হবে।
সিবিএসই-র ওই কমিটি গত সপ্তাহে জানায়, দ্বাদশ শ্রেণীর মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শেষ তিন বছর অর্থাৎ, দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর প্রতিটি ধাপে পরীক্ষার্থীদের ক্রিয়াকলাপ ও প্রাপ্ত নম্বরকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এক্ষেত্রে। ৩০ শতাংশ ওয়েটেজ থাকবে দশম শ্রেণীর ক্ষেত্রে। ৪০ শতাংশ ওয়েটেজ থাকবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ক্ষেত্রে। দশম শ্রেণীর ক্ষেত্রে ৫টি বিষয়ের মধ্যে সেরা তিনটি বিষয়ের নম্বর নেওয়া হবে।
সিবিএসই-র পক্ষ থেকে আগেই আদালতে জানানো হয়েছিল, কোনও পরীক্ষার্থী যদি তিন বছরের এই যোগ্যতা নির্ধারণ পদ্ধতিতে সফল না হতে পারে, তাহলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে পুনর্মূল্যায়ন ক্যাটেগরিতে রাখা হবে। এছাড়া, সিবিএসই-র মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যদি কোনও পরীক্ষার্থী নিজের নম্বরে অখুশি থাকে, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে সশরীরে পরীক্ষার বন্দোবস্তও রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলে এবং স্কুল সময় নির্ধারণ করে দিলে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়া পরীক্ষা দিতে পারবে। অনলাইন মাধ্যমে তার জন্য আবেদন করা যাবে বলেই আদালতে জানিয়েছে বোর্ড। ১৫ই আগস্ট থেকে ১৫ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে হবে পরীক্ষা।
Comments