চিত্র।
ডনবেঙ্গল ডেস্ক : জোর করে দেহ ব্যবসায় নামিয়েছিল স্বামী। তাঁকে ধর্ষণ করেছে বহু নামজাদা ক্রিকেটার ও কংগ্রেস নেতা। এমনই অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন দাউদ ইব্রাহিম ঘনিষ্ঠ রিয়াজ ভাটির স্ত্রী রেহনুমা ভাটি।
২৪ সেপ্টেম্বর সান্তাক্রুজ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রেহনুমা। কিন্তু তারপর দুমাস কাটলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। গ্যাংস্টার পত্নীর দাবি, একটা এফআইআর দায়েরের জন্য আমি পুলিশের সব স্তরের লোকেদের সঙ্গে দেখা করেছি। কোনও লাভ হয়নি। সেপ্টেম্বরে আমি আবেদনপত্র জমা দিয়েছি। আর এখন নভেম্বর। পুলিশের অনেকে আমার কাছে ঘুষ চেয়েছে। কিন্তু আমি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবো কেন ? আমি তো কোনও অন্যায় করিনি।'' এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট জোনের ডিসিপি মঞ্জুনাথ সিংঘে অভিযোগ জমা পড়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি।
রেহনুমার অভিযোগ, তাঁর দুই সন্তানকে খুন করার ভয় দেখিয়ে অন্তত ১৫-২০ জনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করিয়েছে তাঁর স্বামী। ২০১৪-১৫ সালে এক ক্রিকেটার তাঁকে ধর্ষণ করে। বর্তমান টি-২০ বিশ্বকাপ টিমেও ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ওই ক্রিকেটার। পরে আরও এক প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ও তাঁর বন্ধুদের হাতে গণধর্ষিত হন তিনি। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, ওই ক্রিকেটাররা মাদকাসক্ত অবস্থায় তাঁর ওপর বিকৃত যৌন অত্যাচার চালিয়েছিল। তাঁকে ধর্ষণ করেছে প্রভাবশালী এক কংগ্রেস নেতাও। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন রিয়াজের স্ত্রী। বিসিসিআইয়ের একসময় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ওই নেতার সামনে তাঁকে নগ্ন হয়ে নাচতে বাধ্য করা হয়েছিল। আপত্তি করায় চরম শারীরিক নিগ্রহের শিকার হতে হয় তাঁকে।
গ্যাংস্টার রিয়াজ ভাটির ক্রিমিনাল রেকর্ড বেশ চওড়া। তোলাবাজি থেকে জমি দখল, লোক ঠকানোর অনেক অভিযোগ রয়েছে তাঁর নামে। এনসিপি নেতা নবাব মালিকের অভিযোগ, বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় রিয়াজের নানা অপরাধ আড়াল করেছেন। রেহনুমার দাবি, "রিয়াজ উধাও হওয়ার পর আমি এই আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলাম। এখন হাতে টাকা পয়সা রিয়াজের নেই। আমাকে ফোন করে বিভিন্ন ঠিকানায় টাকা পাঠানোর হুমকি দিচ্ছে। আমাকে ১৫ বছর ধরে যৌনকর্মী বানিয়ে রেখেছে। ওর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিলে মুক্তি পাব না।''
Comments