চিত্র।
ডনবেঙ্গল ডেস্ক : দিল্লিতে দূষণের তীব্রতা ও মাত্রা হু হু করে বাড়ছে। রাজধানীর বিপুল সংখ্যক গাড়ির ধোঁয়া তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে পাশের রাজ্যগুলি থেকে আসা কৃষিক্ষেত পোড়ানোর ধোঁয়াও। এর ফলে দিল্লিবাসীর স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে। পাশাপাশি এই বায়ুদূষণ ডেকে আনছে নানা রোগ। কেবলমাত্র মাস্ক দিয়ে তা রোখা সম্ভব নয়।
এদিকে, সুইজারল্যান্ড-কেন্দ্রিক জলবায়ু সংস্থা আইকিউ এয়ার দেখিয়েছে যে, বায়ুর গুণমানের নিরিখে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ দশটি শহরের মধ্যে তিনটিই ভারতের। এই সংস্থা বাতাসের গুণগত অবস্থা ও দূষিত শহরকে ট্র্যাক করে। এই সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তালিকার শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। এখানকার গড় একিউআই ৫৫৬। কলকাতা রয়েছে চতুর্থ স্থানে এবং মুম্বই ষষ্ঠ। তালিকায় রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর ও চিনের চেংড়ু। তালিকাটি এমন : দিল্লি (৫৫৬), লাহোর (৩৫৪), সোফিয়া (১৭৮), কলকাতা (১৭৭), জাগ্রেব (১৭৩), মুম্বই (১৬৯), বেলগ্রেড (১৬৫), চেংড়ু (১৬৫), স্কোপজে (১৬৪) ও ক্রাকাও (১৬০)।
উল্লেখ্য, ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ট্রপিকাল মেটেরিওলজির (আইআইটিএম) ডিশিসন সাপোর্ট ব্যবস্থা (ডিএসএস) শুক্রবার জানিয়েছে যে, দিল্লির বায়ুদূষণের জন্য অন্যান্য শহর যেমন ঝাজ্জর, গুরগাঁও, বাঘপত, গাজিয়াবাদ ও সোনেপাতের ভূমিকাও রয়েছে। এই সব শহর থেকে দূষণ সৃষ্টিকারী উপাদান বাতাসে ভেসে এসে মেশে রাজধানীর বাতাসে।
ডিএসএস বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে যে, ধানগাছের অবশিষ্টাংশ বা নাড়া পোড়ানোর ফলে যে ধোঁয়া হয় তা দিল্লির দূষণের ১৫ শতাংশ জুড়ে রয়েছে। রাজধানীর রাস্তায় চলা গাড়ি থেকে নির্গত হওয়া ধোঁয়া ২৫ শতাংশ দূষিত করছে এখানকার বায়ু। বাড়িঘর থেকে আসা ধোঁয়া রয়েছে ৭ শতাংশ। দিল্লিতে থাকা কলকারখানা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ৯-১০ শতাংশ দূষিত পদার্থ বাতাসে মেশে। কেন্দ্রের বিশ্ব বিজ্ঞান মন্ত্রকের বায়ুর গুণগত মান পর্যবেক্ষণ স্টেশন 'সফর' জানিয়েছে যে, নাড়া পোড়ানোর ধোঁয়া অন্তত ৩৫ শতাংশ উপাদান মিশিয়ে দিচ্ছে বাতাসে।
Comments