ডনবেঙ্গল : বিশ্ব ফুটবলের মঞ্চে ইতালি ও ইংল্যান্ডের পুনর্জন্ম। ইংল্যান্ড ইউরো না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়ছে আর ইতালি ফুটবলের নতুন দিনের গল্প লিখতে শুরু করেছে। দুই দলের দুই কোচ যেন দুই শিল্পী। ডাগআউটে দাঁড়িয়ে এই দুই শিল্পী যেভাবে রং-তুলি ছোঁয়াবেন, সেভাবেই সবুজ গালিচায় লড়াই হবে।
ইতালির কোচ রবার্তো মানচিনি এবং ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট এখন দুই দেশের সবচেয়ে আদরণীয় দুই তারকা। এ দুই কোচের হাতে পড়ে আজ ইউরোর ফাইনালের মঞ্চে ইতালি ও ইংল্যান্ড। লন্ডনের ওয়েম্বলিতে ফাইনালের মঞ্চায়ন রাত সাড়ে ১২টায়।
ইংল্যান্ড ফাইনালে উঠে গেলেও ইংরেজদের নিয়ে নানা ঝুটঝামেলা লেগেই আছে। সেমিফাইনালে ডেনমার্ককে হারিয়ে ইংল্যান্ড ফাইনালে উঠলেও নানা কথা ইংরেজদের দিকে ছুটছে। সেমিফাইনালে স্টারলিংয়ের পাওয়া পেনালটি নিয়ে কথা শেষ হচ্ছেই না।
ইতালিয়ান পত্রিকায় বেরিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মাঠে ছিলেন। তিনি যেন বিতর্কিত সুপার লিগ বাতিলের পক্ষে থাকেন, সে কারণেই রেফারি ইংরেজদের পক্ষে পেনালটি দিয়েছেন। হ্যারি কেইন পেনালটি মারার সময় কেউ একজন ডেনমার্কের গোলকিপারের চোখে লেজার লাইট মেরেছিলেন, যেন সমস্যা হয়। খেলা শুরুর আগে প্রতিপক্ষের জাতীয় সংগীত চলার সময় ইংরেজরা নানা বিরক্তিকর শব্দ করেছেন। এসব নানা কথাবার্তা আমলে না নিয়ে ইতালি ও ইংল্যান্ড ফাইনালের প্রস্তুতি নিয়েছে।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইন আজকের ফাইনাল নিয়ে বলেছেন, ‘ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখাতাম একদিন এই ট্রফিটা হাতে তুলব। আজ সেই স্বপ্ন পূরণের দিন। আমার জীবনের সব থেকে বড় ম্যাচ এটি। শুধু তাই নয়, আমাদের সব খেলোয়াড়ের জীবনে এটা সবচেয়ে বড় ম্যাচ আজ।’
কেইন ইউরোতে ৪ গোল করে গোল্ডেন বুট পাওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছেন। ম্যাচ নিয়ে কেইন বলেছেন, ‘ফিফটি ফিফটি চান্স। আমরা জানি ইতালি কতটা শক্তিশালী। তাদের ঘরে গ্রেট ফুটবলার রয়েছে। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ফুটবলারদের ছাপিয়ে যাওয়া কঠিন হলেও সেটি অসম্ভব নয়। আমি আমাদের দৃষ্টি থেকে বলতে পারি, যেভাবে এগিয়ে এসেছি আমরাই চ্যাম্পিয়ন।’
ইতালির বুনোচ্চি বলেছেন, ‘আমাদের কোচ রবার্তো মানচিনি ধীরে ধীরে আমাদের মনের ভেতরে ট্রফি জ্বরের স্বপ্নটা বুনে দিয়েছেন। আমাদের তরুণ ও সিনিয়র ফুটবলারদের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি হওয়ায় আমরা এখন ফাইনালে। আর এই সুযোগটা হয়েছে করোনার কারণেই। কোভিডের কারণে ইউরো এক বছর পিছিয়ে যায়। সেই সময়টা আমরা কাজে লাগিয়েছি। তারই ফসল আজ আমরা ঘরে তুলতে যাচ্ছি।’
Comments