আগ্রার জামা মসজিদ হিসাবে পরিচিত জাহানারা মসজিদের নিচে কৃষ্ণের মূর্তি রয়েছে কিনা তা দেখার জন্য আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) কর্তৃক রেডিওলজি পরীক্ষা চেয়ে মথুরা আদালতে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এই আবেদনের শুনানির সম্ভবনা রয়েছে ১০ মে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান সংগঠনের পক্ষ থেকে আবেদনপত্র জমা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, মথুরার শাহি ইদগাহের জমি তুলে দেওয়া হোক শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্টের হাতে। আরও দাবি করা হয়, কৃষ্ণের জন্মভূমি দখল করে ও একটি মন্দির ভেঙে সম্রাট আওরঙ্গজেব ইদগাহ নির্মাণ করেছিলেন। মথুরার মন্দির থেকে কৃষ্ণমূর্তি আগ্রাতে নিয়ে গিয়ে জাহানারা মসজিদের নিচে পুঁতে দেন আওরঙ্গজেব। এমনটা দাবি করার পাশাপাশি আওরঙ্গজেব অধিগ্রহণ করেছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে জাহানারা মসজিদে এএসআইয়ের সমীক্ষা জরুরি বলা হয় ওই আবেদনপত্রে। গত সপ্তাহে বেনারস আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদে এএসআইকে সার্ভে করার অনুমতি দিয়েছে। সেই রায়কেও উল্লেখ করা হয়েছে এই আবেদনে।
১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইনে বলা হয়েছে যে, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ধর্মীয় উপাসনাস্থল হিসাবে প্রচলিত স্থান অপরিবর্তিত থাকতে এবং কোনও মামলা, আবেদন বা বিচার করা যাবে না। অযোধ্যার বাবরি মসজিদ সহ দেশের বিভিন্ন মসজিদ নিয়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি ক্ষেপে উঠলে এই আইন পাশ করা হয়েছিল। তখনই দাবি উঠেছিল যে, বেনারসের জ্ঞানবাপী মসজিদ ও মথুরার শাহি ইদগাহকে মন্দিরে রূপান্তরিত করতে হবে। ১৯৯১ সালের আইন বাবরি মসজিদকে তার আওতার বাইরে রেখেছিল কেননা তা নিয়ে মামলা চলছিল। তবে, জ্ঞানবাপী মসজিদ ও মথুরা ইদগাহ এই আইনের আওতায় পড়ে। প্রসঙ্গত, ইদগাহ সরানো নিয়ে একই রকম একটি মামলা মথুরা আদালত বাতিল করে দিয়েছিল। যুক্তি হিসাবে বলা হয়েছিল, ওই মামলা ভক্ত করেছে, দেবতা করেনি।
Comments