top of page

ভগ্নদশায় মেজিয়া সেতু, মেরামতির কাজে এগিয়ে এল স্থানীয় যুবকরা



রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভগ্নদশা বাঁকুড়ার সঙ্গে দুই বর্ধমানের যোগাযোগ রক্ষাকারী মেজিয়া রেল সেতু। সেতু মেরামতে হেলদোল নেই রেলের। এবার সেতু মেরামতে এগিয়ে এল মেজিয়ার কিছু যুবক।


বাঁকুড়ার সঙ্গে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের যোগাযোগকে অটুট রেখেছে মেজিয়া রেল সেতু। নিজেদের পণ্য সামগ্রী পরিবহণের লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন মেজিয়া থার্মাল পাওয়ার স্টেশনকে কেন্দ্র করে এই সেতু নির্মাণ করে। মেজিয়া থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে পণ্য পরিবহণের সাথে চলে অন্যান্য পরিবহণও। কয়েক হাজার যানবাহনের নিত্য যাতায়াত এই সেতুর উপর দিয়ে। কিন্তু সেতু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জেরে ভগ্নদশায় পরিণত হতে চলেছে। ১৯৯৬  সালে সেতু নির্মাণের পর কেটে গেছে ২৩টা বছর । এই ২৩ বছরের মধ্যে বিগত পাঁচ ছয় বছর যাবত সেতুটির হাল বেহাল হয়ে পড়েছে। সেতুর বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে গভীর গর্ত। সেতুর ঢালাই অংশের রডও বেরিয়ে পড়েছে। আর সেই বেরিয়ে থাকা রড বাইকের চাকায় লেগে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও। এছাড়াও বিভিন্ন বড় গাড়ি চালকরাও পড়ছেন নানান সমস্যায়। তা সত্ত্বেও এই সেতু মেরামতির কাযে এগিয়ে এসেছে না দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। রাজ্য প্রশাসনেরও এই ব্যাপারে কোনো হেলদোল নেই।যদিও বেশ কয়েকবার কিছু বেসরকারি সংস্থা এবং বেশকিছু স্থানীয় মানুষ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই সেতুর বিপদজনক জায়গাগুলি মেরামতের উদ্যোগ নিলেও লাভ হয়নি কিছুই। কিছুদিন গেলেই সেতুর সেই খানাখন্দ পুনরায় সৃষ্টি হচ্ছে। যদিও তাতেও হাল ছেড়ে দেননি তারা। এবার  এই সেতুকেই  বিপদ মুক্ত করার লক্ষ্যে এগিয়ে এল একদল মেজিয়ার যুবক। তারা সেতুর দু'ধারে দীর্ঘদিনের জমে থাকা বালি সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। শুধু তাই নয় সেতুর মরন খাদ গুলিকে বুজিয়ে বিপদ মুক্ত করার বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় যুবকদের এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।

Comments


bottom of page