মেসি এবং নেইমা। ফাইল ছবি
হাইভোল্টেজ ফাইনাল কেউ হাতছাড়া করতে চাইছে না। মেসি নেইমার দ্বৈরথ দেখার জন্য করোনা বিধি মেনেই এবং করোনা পরীক্ষা করেই মাঠে ঢোকার সুযোগ পাচ্ছেন সাড়ে ৫ হাজার দর্শক। ব্রাজিলের ২ হাজার ২০০ সমর্থক, আর্জেন্টিনার ২ হাজার ২০০ সমর্থক। তবে এ ম্যাচ দেখার জন্য আর্জেন্টিনা থেকে কারও ব্রাজিলে যাওয়ার সুযোগ নেই। ব্রাজিলে থাকা আর্জেন্টাইনরাই শুধু ঢুকতে পারবেন মারাকানায়। এর বাইরে ১ হাজার ১০০ টিকিট রাখা হবে অতিথিদের জন্য।
১৪ বছর পর কোপার ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। এমন উপলক্ষ হাতছাড়া করতে চাইচ্ছেন না দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের হর্তাকর্তারা। কনমেবল তাই ফাইনালে দর্শক ঢোকানোর অনুমতি চেয়েছিল রিও ডি জেনিরো শহরের কর্তৃপক্ষের কাছে। সে আবেদনে সাড়া মিলেছে। ইউরোতে গ্যালারির পুরোটাজুড়েই দর্শক থাকার চিন্তাভাবনা থাকলেও কোপা আমেরিকাতে ধারণক্ষমতার মাত্র ১০ শতাংশই ভরা হবে। আগামী রোববারের ফাইনালে গ্যালারিতে থাকবেন সাড়ে ৫ হাজার দর্শক। মারাকানায় সেদিন দুই দলের পক্ষ থেকে ২ হাজার ২০০ জন মাঠে ঢুকতে পারবেন।
পুরো টুর্নামেন্ট হয়েছে শূন্য গ্যালারিতে। আটলান্টিকের ওপারে ইউরোতে রীতিমতো উৎসব চলছে। গ্যালারি উপচে পড়ার অবস্থা ওয়েম্বলিতে। ইতালি ও ইংল্যান্ডের ফাইনালে তো পুরো ৯০ হাজার দর্শককেই গ্যালারিতে ঢুকতে দেওয়ার সম্ভাবনা জেগেছে। করোনা সংক্রমণ বেশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা ইংল্যান্ড সে সাহস দেখাতে পারলেও ব্রাজিল এতটা সাহস দেখাতে পারেনি। বহু সমালোচনার মাঝেও টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পেরেই সন্তুষ্ট ছিল তারা। সেমিফাইনাল পর্যন্ত সব কটি ম্যাচ হয়েছে শূন্য গ্যালারিতে।
মাঠে ঢোকার জন্য দর্শকদের অবশ্য বেশ কিছু শর্ত পালন করতে হবে। শুধু রিও ডি জেনিরো এবং এই শহরের আশপাশের মানুষই সুযোগ পাবেন খেলা দেখার। স্টেডিয়ামে ঢোকার জন্য সবাইকে করোনা পরীক্ষা দিতে হবে।
Comments