top of page
Writer's picturedbwebdesk

মোদির মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেন সঙঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ রমেশ পোখরিওয়াল



ডন বেঙ্গল : মোদি মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের আগেই চাকরি হারালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিওয়াল নিশাঙ্ক। স্বাস্থ্যের কারণেই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ।


দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে দুপুরেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সঙঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রমেশ পোখরিওয়াল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা নিয়ে অবশ্য সাংবাদিকদের কাছে কোনও প্রক্রিয়া জানাতে চাননি তিনি।


২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিপুল জনাদেশ নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে এদিন সন্ধ্যায় মোদি মন্ত্রিসভার প্রথম সম্প্রসারণ ও রদবদল হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে বেশ কয়েকজন নতুন মুখ যেমন অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন, তেমনই বেশ কয়েকজন বাদ পড়তে পারেন বলেও জল্পনা চলছিল। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রী থেবরচাঁদ গহলৌতকে কর্নাটকের রাজ্যপাল পদে নিয়োগের পরেই ওই জল্পনা জোরদার হয়।


মন্ত্রিসভা থেকে কাদের বাদ দেওয়া হবে তা চূড়ান্ত করতে এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসে। ওই বৈঠকেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিওয়াল নিশাঙ্ককে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিছুদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকেই স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। ফলে রমেশ পোখরিওয়াল মন্ত্রকের কাজকর্ম ঠিকভাবে সামলাতে পারছিলেন না বলে মনে করছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। তাই তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এদিন বৈঠকের পরেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ পেয়ে আর কালবিলম্ব করেননি নিশাঙ্ক। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইস্তফা পাঠিয়ে দেন।

Comentarios


bottom of page