আরও একটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে থেকেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের সূচনা করলেন তিনি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কার্ড ব্যবহার করেই ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। দশম শ্রেণী থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও আরও উচ্চশিক্ষার জন্য এই ঋণ পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পাওয়া যাবে ঋণ।
এদিন নবান্নে ব্যাঙ্কারদের সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি জানান, শুধু পড়াশোনা বা কোনও কোর্সের ক্ষেত্রে নয়, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, বই কিনলেও ঋণ পাওয়া যাবে। দেশ, বিদেশের কলেজ, স্কুলে উচ্চশিক্ষায় পড়াশুনোর সুযোগ পাওয়া যাবে। সরকারি, বেসরকারি ও সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়া যাবে। আবেদন করার পদ্ধতি সরল। সবটাই অনলাইন।
কোর্স চলাকালীন যে কোনও সময় আবেদন করা যাবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ঋণের মেয়াদ ১৫ বছর। তার মধ্যে চাকরি পেয়ে যাবেন। বাবা-মায়ের কোনও চিন্তা থাকবে না। শিক্ষা ঋণের জন্য এখানে-ওখানে ঘুরতে হবে না। ছাত্রছাত্রীদের অনেক স্বপ্ন পূরণ হয়ে যাবে।'
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী পড়ুয়াদের উদ্দেশে বলেন, 'মন দিয়ে পড়াশুনো করো। মা-বাবারাও নিশ্চিন্তে থাকুন। আপনার ছেলেমেয়েরা নিজেরাই ইঞ্জিনিয়ার, আইএএস, আইপিএস হবে। আপনাদের মুখ উজ্জ্বল করবে। নিজেরাই নিজেদের টাকায় পড়তে পারবে। আমাদের সময় কেউ একটা বইও দেয়নি। কোনও সুযোগ পাইনি। টিউশনি করে পড়াশুনো করতে হয়েছে।'
রাজ্যজুড়ে শিক্ষার প্রসার ঘটেছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এর জন্য রাজ্যের জনমুখি প্রকল্পগুলিকেই প্রাধান্য দিলেন তিনি। বললেন, 'সবুজ সাথী প্রকল্পে ১ কোটি সাইকেল দিয়েছি। মাঝে ভোটের জন্য সাইকেল দেওয়া বন্ধ ছিল। এখন ১২ লক্ষ সাইকেল দিচ্ছি। ২০২০ সালে নবম শ্রেণির ৩ লক্ষ ছাত্রছাত্রী ও ২০২১ সালের নবম শ্রেণির ৯ লক্ষ ছাত্রছাত্রী নভেম্বরের মধ্যে পেয়ে যাবেন। ৬ লক্ষ আগেই দেওয়া হয়েছে।
তরুণের স্বপ্ন দ্বাদশ শ্রেণির ৮ লক্ষ ৭৬ হাজার ছাত্রছাত্রীকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। ৮ লক্ষ ৯৪ হাজার ছাত্রছাত্রীকে ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। দশম শ্রেণি থেকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা মিলবে। দশম শ্রেণির পর বাইরে পড়ার সুযোগ পাবেন।' রাজ্যের তৃণমূল সরকার আসার পর থেকে নতুন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েরও এদিন খতিয়ান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Comments