করোনার জেরে এবছরও বাতিল হয়েছে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। জুলাই মাসেই প্রকাশিত হবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফল৷ ২৩ জুনের মধ্যে স্কুলকে নম্বর জমা দেওয়ার নির্দেশ।
কিন্তু কীভাবে হবে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন তা স্পষ্টভাবে জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
শুক্রবার সংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছে। মাধ্যমিকের জন্য ২০১৯ সালের ক্লাস নাইনের মার্কশিট এবং ক্লাস টেনের ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট নম্বর নিয়েই তৈরি হবে মার্কশিট। অর্থাৎ নবম শ্রেণি ফলাফলের ৫০ শতাংশ এবং দশম শ্রেণির অ্যাসেসমেন্ট টেস্টের নম্বরের ৫০ শতাংশ যোগ করে মাধ্যমিকের মার্কশিট তৈরি হবে। কেউ এই মূল্যায়নে সন্তুষ্ট না হলেও পরে পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে পরীক্ষা দিতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরই চূড়ান্ত বলে ধরা হবে।
উচ্চমাধ্যমিকের জন্য, বিশেষ গাণিতিক পদ্ধতিতে হবে দ্বাদশের পড়ুয়াদের মার্কশিট। এই পদ্ধতিতে মূল্যায়নে কেউ সন্তুষ্ট না হলে কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পর পরীক্ষায় বসতে পারবেন পড়ুয়ারা। তবে সেক্ষেত্রে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরকেই উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও চূড়ান্ত বলেই ধরা হয়েছে। ২০১৯ সালের মাধ্যমিকের সর্বাধিক প্রাপ্ত নম্বরের নিরিখে চারটি বিষয় থেকে ৪০ শতাংশ, ২০২০ সালের একাদশ শ্রেণির লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ৬০ শতাংশ ও দ্বাদশের প্রজেক্ট (২০ নম্বর) ও প্র্যাক্টিকাল (৩০ নম্বর)-এর গড় হিসাব করে দ্বাদশ শ্রেণির রেজাল্ট তৈরি হবে।
২০১৯ সালের মাধ্যমিকে পড়ুয়া যে চার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছিল সেই প্রাপ্ত নম্বরের ৪০ শতাংশ। বিজ্ঞান বিষয়ের ৭০ নম্বরের মধ্যে ২৮ নম্বর নেওয়া হবে এই ক্ষেত্র থেকে পাটিগণিতের হিসেবে ৪০০-এর মধ্যে যে ২০০ পেলে ২৮ নম্বরে কত পাবেন ওই পড়ুয়া, এই ভিত্তিতে হবে মূল্যায়ন।
Comments