প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই সফল হবার একটা সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা থাকে। কারও কম, কারও বেশি। যাঁরা স্মার্ট এবং সাহসী,তাঁরা দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে সাফল্যের পথে এগিয়ে যান।
মডেলিঙ-জগতে যাঁরা আসতে চান,প্রথমেই তাঁদের দরকার নিজের প্রতি গভীর আত্মবিশ্বাস।মনে মনে সবসময় বলতে থাকুন-আমি পারবই।
একটা কথা মনে রাখবেন,একজন সফল মডেল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে নাম যশ খ্যাতির পাশাপাশি অর্থ উপার্জনও কিন্তু যথেষ্ট। শুধু কি তাই? ভাগ্য প্রসন্ন হ'লে সিনেমা এবং সিরিয়ালেও ডাক আসতে পারে। বাংলা ছবির সুপার স্টার জিৎ কিন্তু মডেলিং থেকেই সিনেমাজগতে পা রেখেছিলেন। এবং তিনি অভিনয়জগতে একশো ভাগ সফল। আত্মবিশ্বাসের পাশাপাশি সঠিক গ্রুমিং খুব জরুরি। গ্রুমিং-এর ব্যাপারে মডেলকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। কোন্ অ্যাঙ্গেল থেকে আপনার ফটো ভালো আসবে,বার বার বিভিন্ন পোজে ফটো তুলে তা দেখতে হবে। মডেলকে অবশ্যই ফটোজেনিক হতে হবে। ক্যামেরার পক্ষে গ্রহণযোগ্য হওয়াটাই এখানে বড় কথা।সত্যিকারের মডেল হওয়া যাঁর স্বপ্ন এবং সাধনা,তাঁর দরকার একজন প্রফেসন্যাল ক্যামেরামান বা ভালো স্টুডিও। সেখানে মূলতঃ এই ধরনের ছবিই তোলা হয়। সঠিক পোশাক নির্বাচন করার সঙ্গে সঙ্গে সঠিক মেক আপম্যানের সাহায্য তাঁকে নিতে হবে।
নানারকম পোশাকে নানা পোজের ছবি তুলে একটা পোর্টফোলিও বানাতে হবে মডেলকে। ফটোজেনিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে এক্সপ্রেশন অর্থাৎ অভিব্যক্তির প্রতিও বিশেষ নজর দিতে হবে। কখন রোম্যান্টিক লুক হবে,কখন বিস্ময়,কখন দাঁত বের করে হাসতে হবে,কখন হাল্কা হাসির ছোঁয়াটুকু থাকবে-এ সব দক্ষ ক্যামেরাম্যানের নির্দেশমতো করতে হবে মডেলকে। বারবার ক্যামেরার সামনে কাজ করতে করতে মডেল হয়ে উঠবেন অভিজ্ঞ। ফ্যাশনের ব্যাপারে সবসময় আপডেট থাকতে হবে। কারণ,ফ্যাশন এবং স্টাইল নিত্যনূতন পরিবর্তনশীল। তাই,এ ব্যাপারেও মডেলকে এগিয়ে থাকতে হবে।
ভালো স্টুডিও এবং ক্যামেরাম্যানের সন্ধান পেলেন। সুন্দর পোর্টফোলিও বানালেন। এবার আপনার কাজ হল-ভালো ভালো বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা। সিনেমা এবং সিরিয়াল প্রোডাকশন হাউসের সঙ্গেও যোগাযোগ করতেই পারেন। বলা তো যায় না,কীভাবে আপনার ভাগ্যলক্ষ্মী প্রসন্ন হবেন। সুতরাং,আর দেরি না করে নেমে পড়ুন মডেলিং-জগতে। সাফল্য আপনার দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে।।
কলমে - অভিষেক দাশ
Komentarze