চিত্র।
ডনবেঙ্গল ডেক্স : অনলাইনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ক্লাস করে বেশিরভাগ পড়ুয়া একঘেয়েমিতে ভুগছে। তারা স্কুল যেতে চায়। কেউ আবার পরিবেশের অস্বাস্থ্যকর অবস্থার কথা বলেছে প্রিয় শিক্ষক-শিক্ষিকাকে। আবার কেউ পরিবারের আর্থিক সাহায্যে যোগ দিয়েছে। এতে তাঁদের ভবিষ্যতের ক্ষতি হচ্ছে। তবে শিশু-কিশোর, কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশে তৈরী হয়ে নেমে পড়েছে দুই দপ্তর একযোগে।
করোনা আবহে টানা ১৮ মাস স্কুল বন্ধ। পড়াশোনা সবটাই অনলাইনের মাধ্যমে। এতে তাঁদের উৎসাহ অবনতি হচ্ছে না তো ? তাঁদের পড়াশোনার প্রতি একাগ্রতা কমছে নাতো ? এই প্রশ্ন স্কুল শিক্ষা দপ্তরের। সংশয় পড়েছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের। দুই দপ্তরের শীর্ষকর্তারা স্বাস্থ্য ভবনে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনায় বসেন। সেখানেই যে সব তথ্য উঠে এসেছে, তাতে সংশয় আরও বেড়ে চলেছে।
অনলাইনে দীর্ঘদিন ক্লাস করে বেশিরভাগ পড়ুয়া একঘেয়েমিতে ভুগছে। এবার তাঁদের উৎসাহ দানের মাধ্যমে শিক্ষা হবে। তাতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রশিক্ষণ নেবেন স্বাস্থ্য দপ্তরে। তাঁরাই আবার সহ-শিক্ষককে শেখাবেন কীভাবে করোনা আবহে একঘেয়েমি কাটিয়ে তাঁদের প্রিয় ছাত্রছাত্রীর মানসিক স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনা যায়।
বেশিরভাগ ঘরবন্দি পড়ুয়া এবার স্কুলে যেতে চায়। এমনকী, যে শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে রীতিমতো ভয় করত, তাঁকেও কাছ থেকে দেখতে চায়। এই ঘটনা শুধু কলকাতার নয়, সমস্ত জেলাতে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তীর কথায়,"ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত স্কুল পড়ুয়াদের পঠনপাঠন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। লেখাপড়ার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশে উদ্যোগ নিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। স্বাস্থ্য দপ্তর শুধুমাত্র শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবে। আগস্টের শেষ থেকে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। স্কুলপিছু দু’জন করে শিক্ষক-শিক্ষিকাকে এবং প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাকে প্রশিক্ষণ দেবে।"
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও অধ্যাপক ডঃ রঞ্জন ভট্টাচার্য। চিত্র
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, প্রথম দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রথম দফায় প্রশিক্ষণ হবে। স্বাস্থ্য ভবনের এক শীর্ষকর্তার কথায়, “এক ঘণ্টা করে ক্লাস হবে। বয়ঃসন্ধির সমস্যা ও তার দ্রুত সমাধানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে সেই বিষয়টিকে মনে রেখেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।” দুই দপ্তরের এই পদক্ষেপের বহু প্রশংসা করেছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও অধ্যাপক ডা. রঞ্জন ভট্টাচার্যর বলেন "শিশু-কিশোরদের জীবন থেকে দুটো বছর চলে গেল। ওরা কারও সঙ্গে মিশতে পারল না। ছোটরা দেখে শেখে। অনুসরণ করে। অতিমারী আবহে সেই পরম্পরা ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে। তবে দেরিতে হলেও দুই দপ্তর যে এই পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে শিশু কিশোরদের সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে।"
Comentarios